,

হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে করণীয়

সময় ডেস্ক : অস্টিওপরোসিস বা হাড়ক্ষয় বলতে শরীরের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে বোঝায়। অস্টিওপরোসিসে হাড় ঝাড়রা বা ফুলকো হয়ে যায়। এতে অতি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। মারাত্মকভাবে ক্ষয় হওয়া হাড় হাঁচি বা কাশি দিলেও ভেঙে যেতে পারে।
৫০ বছর পেরোবার পর থেকে শরীরের হাড় ক্ষয় বা এটির লক্ষণগুলো নজরে আসতে শুরু করে। পুরুষ বা মহিলার দেহের হাড় সাধারণত ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত ঘনত্বে বাড়ে; ৩৪ বছর পর্যন্ত তা বজায় থাকে। এরপর থেকে হাড় ক্ষয় পেতে থাকে।
বেশি ঝুঁকিতে যাঁরা- পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি ভোগেন, বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো এবং বয়স্ক। প্রায় ২০ শতাংশ মহিলা (ঋতুস্রাব বন্ধের পর) মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙায় ভোগেন এবং পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙেন, কটির (হিপ জয়েন্ট) হাড় ভাঙা রোগীর ২০ শতাংশ পরবর্তী বছর মারা যান, তাড়াতাড়ি বা অপারেশনের মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়েছে এমন মহিলারা, ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ী, শারীরিক পরিশ্রম কম করা ব্যক্তি, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগী, যক্ষ্মা রোগী।
প্রতিরোধ- নিয়মিত সঠিক ব্যায়াম হাড়ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এ ছাড়া কিছু খাবার খেলে এটির ঝুঁকি কমে।
সবুজ শাক-সবজি- গাঢ় সবুজ শাক-সবজি যেমন—বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দই- এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও কিছুটা ভিটামিন ‘ডি’, যা হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লেবুজাতীয় ফল- লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, যা হাড়ের কোলাজেন ও তন্তুময় অংশ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।
সামুদ্রিক মাছ- সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’, যা হাড়ের গঠনের জন্য খুব বেশি প্রয়োজন।
বাদামজাতীয় খাবার- এতে রয়েছে ভিটামিন ‘ডি’ ও ক্যালসিয়াম, যা অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
দুধ- দুধ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ‘ডি’-এর সহজলভ্য উৎস। ফলে এর দ্বারা হাড়ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। তবে দুধ হজম করতে সমস্যা হলে তা পরিহার করুন।


     এই বিভাগের আরো খবর